করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোনো লক্ষণ না থাকলেও আচমকাই মৃত্যু হচ্ছে। পরে দেখা যাচ্ছে, মৃত ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে এ ধরনের মৃত্যুর ঘটনা বেশ কয়েকটি ঘটেছে।
এ নিয়ে রীতিমত চিন্তায় পড়েছেন রাজ্যের চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রোগীর মধ্যে করোনার কোনো লক্ষণ না পাওয়া গেলেও হঠাতই শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে তার। চিকিৎসার শুরুর আগেই মৃত্যু হচ্ছে রোগীর।
মেডিক্যাল রিপোর্ট জানাচ্ছে, যদি কোনো ব্যক্তির থেকে অন্তত ২০০ জন করোনা আক্রান্ত হন, তবে তার এভাবে মৃত্যু হতে পারে। মেডিক্যাল পরিভাষায় এই ব্যক্তিকে বলা হচ্ছে সুপার স্প্রেডার।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের অ্যাসিম্পোটোম্যাটিক রোগীরা প্রাথমিকভাবে সুস্থ বলেই মনে করা হয়। কিন্তু ভেতরে বাইরে বিভিন্ন অংশের ক্ষতিসাধন করে চলে। আচমকাই তাদের রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়। এর ফলে চিকিৎসার বিন্দুমাত্র সুযোগও মেলে না। তারা খুব দ্রুত মারা যান।
এদিকে, গোটা বিশ্ব এখন মারণভাইরাস করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রহর গুনছে। প্রথম দফাতে গোটা বিশ্বজুড়ে কার্যত ধ্বংস যজ্ঞ চালিয়েছে ভাইরাস। দ্বিতীয় দফায় কতটা ভয়ংকর হতে পারে সেটা ভেবেই আতঙ্কিত মানুষজন। কবে এই মারণরোগ থেকে মুক্তি মিলবে তার কোনো সঙ্কেত এখনো পাওয়া যায়নি। তবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ।