বর্তমান সময়ে মরণঘাতী রোগগুলোর মধ্যে ক্যান্সার অন্যতম। বিশ্বজুড়ে এ রোগের চিকিৎসা চলমান থাকলেও পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব নয়। সেই ধারা ভাঙতেই যেন আয়ুর্বেদ নিয়ে এসেছে আশার আলো। এমনই এক দাবি করছেন গবেষক ও চিকিৎসক মো. অসীম। তিনি বর্তমানে নূর-মজিদ আয়ুর্বেদিক কলেজে গবেষণা ও উৎপাদন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।
সুপ্রাচীন কাল থেকেই মানুষের চিকিৎসা পদ্ধতি ছিল প্রাকৃতিক উৎসের উপর নির্ভরশীল। যা মূলত গাছপালা, পশু-পাখি ও বিভিন্ন খনিজ উপাদান থেকে প্রাপ্ত। যা ছিল যাবতীয় রোগ নিরাময়ের মূল হাতিয়ার। প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি যুগে যুগে নানা অভিজ্ঞতা ও গবেষণায় কালের বিবর্তনে মানুষ আবার ফিরে যাচ্ছে সেই পদ্ধতিতে। মূল কারণ স্থায়ী সমাধান ও কম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। এর ধারাবাহিকতায় বর্তমানে বাংলাদেশে ও প্রচুর গবেষণা হচ্ছে বিভিন্ন গবেষণা কেন্দ্র ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
তারই ধারাবাহিকতায় মো. অসীম জানান, তার নিজস্ব কিছু চিকিৎসা পদ্ধতিতে ইতোমধ্যে বেশ কিছু ক্যান্সার রোগী সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন। এছাড়াও কিছু রোগী বর্তমানে ওষুধ সেবন চালিয়ে যাচ্ছেন যাদের নির্দিষ্ট সময় পরপর ডায়াগনোসিস করে অবস্থার উন্নতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তার প্রজ্ঞা ও মেধা দিয়ে ক্যান্সার রোগীদের সুস্থ করে তুলতে তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তার চাওয়া, এ ব্যাপারে সরকার তাকে সহায়তা করুক।
তার তৈরিকৃত ঔষধটি নিয়ে ব্রাইন শ্রিম্প ট্রায়াল করে ফেলেছেন যাতে দেখা গিয়েছে সর্ব নিম্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় সর্বোচ্চ ফলাফল। ব্রাইন শ্রিম্প ট্রায়াল এর মাধ্যমে সেল সাইটো-টক্সিসিটি চেক করে তার ডেটা এনালাইসিস করা হয়েছে।
মো. অসীম বলেন, আমরা ওষুধটির ওপর নানাভাবে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে যুক্ত আছেন আয়ুর্বেদিক গবেষক, বায়োটেকনোলোজিস্ট, ফার্মাসিস্ট, কেমিস্ট ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং এটা নিয়ে সরকারি পর্যায়ে উচ্চতর গবেষণা হোক এবং আধুনিক ডোজেজ পদ্ধতি বের করা হোক।
এ জন্য তিনি সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগও করেছেন। এ ছাড়া তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে যোগাযোগ চলছে ওষুধটি নিয়ে আধুনিক গবেষণার জন্য। এছাড়া উদ্ভাবিত ওষুধটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদানে প্রস্তুত হওয়ায় এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে, এটি শুধু আক্রান্ত কোষগুলোকেই টার্গেট করে, ফলে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।
তিনি আরো বলেন, “আমার এই ওষুধটি পরীক্ষার জন্য আমি তাদেরই বেছে নিয়েছি চিকিৎসকরা যাদের বলে দিয়েছেন, আর কিছু করার নেই। বেশ কিছু রোগী তার কাছে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবংতাদের মধ্যে ৩ জন পরিপূর্ণ সুস্থ জীবন যাপন করছেন।”
এমন একজন ঢাকার মগবাজারে থাকেন, বয়স ৩৪ বছর , যিনি লাস্ট স্টেজ কোলোরেক্টাল ক্যান্সারে ( এডিনোকার্সিনোমা গ্রেড-৪) আক্রান্ত ছিলেন, অন্য একজন ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা, বয়স ৪৫ বছর, উনি হেড এন্ড নেক ক্যান্সার (স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা গ্রেড-২) , এবং কুড়িগ্রামের একজন রোগী যিনি ৯৬ বছরের বৃদ্ধ, তিনি প্রোস্টেট ক্যান্সার (এডিনোকার্সিনোমা গ্রেড-২) এ আক্রান্ত ছিলেন। বর্তমানে তারা সবাই সুস্থ জীবন যাপন করছেন। বাকি রোগীরা নিয়মিত তার গাইডলাইন অনুযায়ী ট্রিটমেন্ট নিচ্ছেন এবং নিয়মিত ক্যান্সার মার্কার চেক করা হচ্ছে ভালো মানের ডায়াগনোস্টিক ল্যাব থেকে।
জানা যায়, চিকিৎসা শুরুর তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে সুস্থ জীবনে ফিরেছেন অধিকাংশ রোগী।ক্যান্সার জনিত নানা উপসর্গ যেমন জ্বর, ব্যাথা, বমি, আক্রান্ত স্থানের ঘা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়া, অনেক সময় আক্রান্ত স্থানে কীট জন্মে যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ওষুধ সেবনের একমাসের মধ্যেই রোগীর এসব শারীরিক উন্নতি পরিলক্ষিত হয়।
সুস্থ রোগীদের প্রত্যেকের সাথেই সংবাদ প্রতিনিধি যোগাযোগ করেছেন এবং দেখেছেন তারা সম্পূর্ণ সুস্থ জীবন যাপন করছেন। এছাড়া বাকি চিকিৎসাধীন রোগীদের সাথে যোগাযোগ করেছেন যাদের প্রায় সবাই আগের থেকে ভালো বোধ করছেন বলে জানা যায়। পরবর্তীতে ডায়াগনস্টিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করে সত্যতা মিলেছে।
এ সংক্রান্ত যেকোন প্রয়োজনে গবেষক ও চিকিৎসক মো.অসীমের সাথে যোগাযোগ করা যাবে +৮৮০১৭৩৭-৫৩৮৫৪৭ নাম্বারে।