স্বাস্থ্য নিয়ে ইদানিং সবাই সচেতন। কমবেশি, নিয়মিত-অনিয়মিতভাবে ডায়েটে ব্যস্ত থাকে সবাই। কিন্তু ডায়েটিং ঠিক মত করা বা ডায়েটিংয়ে লেগে থাকা খুব কঠিণ। উৎসাহ নিয়ে শুরু করলেও মাঝে মাঝে এর অন্যথা ঘটে। এক আধবার হলে তেমন ক্ষতি নেই কারণ ডায়েটিঙ্গের নিয়মই হল সপ্তাহ জুড়ে নিয়ম করে এক আধদিন অনিয়ম করা তাতে বাকিদিনগুলোতে ডায়েটিঙ্গে লেগে থাকা সহজ হয়।
অনেক সময় প্রিয় আইসক্রিম বা বিরিয়ানি এমন করে লোভ জাগায় তাতে করে পরপর কয়েকদিন অনিয়ম হয়ে যায়, আবার নতুন করে শুরু করতে হয়। এতে করেই মন খারাপ হয়ে যায়।
আমাদের মাথায় রাখতে হবে ওজন কমাতে ডায়েটিঙ্গের গুরুত্ব।
ডায়েটিঙ্গের প্রস্তুতি নিতে বেশ কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখতে হয়। যেমন :
১। কি কি খাবার দেখলে নিজেকে সামলাতে পারেন না তা নোট করুন। তার মধ্যে যেগুলো হাই ক্যালোরি তা মার্ক করে রাখুন।
২। পরিকল্পনা করুন লোভনীয় খাবার থেকে কীভাবে পরিত্রান পাওয়া যায় তার বদলে কম ক্যালোরি কি খাবার খাওয়া যায়।
৩। দুপুরে বা রাতে মিষ্টির বদলে বেছে নিন কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার, কোল্ড ড্রিঙ্কসের বদলে নিন ফলের রস বা ডাবের পানি।
পুরো সপ্তাহজুড়ে নিয়ম মেনে চলুন আর একদিন নিজের পছন্দমত খাবার বেছে নিন।
ঘুমের সাথে ফাঁকিবাজি করা যাবেনা। কম ঘুমোলে শরীরে এমন কিছু হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে যারা খিদে বাড়ায়। তাছাড়া কম ঘুমের ক্লান্তি দূর করতে আসক্তি বাড়ে মিষ্টি খাবারের প্রতি। তাই পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।
মেনে চলার কৌশল :
এক মুহূর্তের আনন্দের জন্য লোভনীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন। এত ব্যায়াম, এত কষ্ট, সব বিফলে চলে যাবে এই ভুলের জন্য।
অসময়ে খাওয়ার ইচ্ছা হলে ফ্রেশ জুস খাওয়া যেতে পারে। চোখের ক্ষুধা দূর করতে একটু হেঁটে নিতে পারেন।
নিয়মিত ব্যায়াম আর ব্যালেন্স ডায়েট আপনার শরীর মন দুটোকেই সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।