করোনাভাইরাসের বিপক্ষে জিততে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় আটটি ভ্যাকসিনকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা মানবদেহে পরীক্ষা করে দেখার অনুমতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বুধবার (৬ মে) এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও এ তথ্য জানিয়েছে।
ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন পাওয়া আটটি ভ্যাকসিনের মধ্যে পাঁচটিই করোনার উৎসভূমি চীনের। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে একটি করে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে। অপর ভ্যাকসিনটি তৈরিতে যৌথভাবে কাজ করছে জার্মান কোম্পানি বায়োঅ্যানটেক ও যুক্তরাষ্ট্রের বায়োটেক কোম্পানি পিজফার।
করোনার বিরুদ্ধে এই ভ্যাকসিন তৈরিতে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গবেষক দল ছিল ১০৪টি। এখন নতুন করে এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে জাপানের ইউনিভার্সিটি অব টোকিও, তুলানে ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টা এবং দি ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গ।
গত ১৬ মার্চ প্রথমবারের মতো করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগ করে দি আমেরিকান ন্যাশনাল হেলথ ইনস্টিটিউট বা এনআইএস। এর পর যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরাও আরেকটি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করেছে। যার চূড়ান্ত ফল আসার কথা আগামী মাসের মধ্যভাগে।
এদিকে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি করেছে ইতালি। এটি কার্যকরভাবে কোভিড ১৯-এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম বলে দাবি করেছেন রোমের স্পালানজানি হাসপাতালের গবেষকরা, যা প্রস্তুত করেছে রোমের ‘টাকিস’ নামে একটি কোম্পানি।