ডায়াবেটিস এমন এক রোগ, যার কারণে দেহ স্বাভাবিকের চেয়েও কম ইনসুলিন উৎপাদন করে।ফলে রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়।
এর ফলে ক্লান্তি, ঘন ঘন প্রস্রাব, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া প্রভৃতি লক্ষণ দেখা দেয়।
পুরোপুরি ভালো না হলেও রোগটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এর জন্য যা করতে হবে আপনাকে:
প্রচুর হাঁটাহাঁটি করা :
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে নিয়মিত হাঁটার ভালো ব্যায়াম আর কিছুতেই হতে পাড়ে না। প্রতিদিন অন্তত ৪০মিনিট হাঁটাহাঁটি করা জরুরী। এতে বিপাকীয় হার এমন পর্যায়ে থাকবে যা দেহে ইনসুলিনের মাত্রাকে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় রাখে। ফলে ডায়াবেটিসেরও ঝুঁকি কমে আসবে।
স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা :
দেহের ওজন স্বাভাবিকভাবে নিয়ন্ত্রিত রাখার মধ্য দিয়ে শুধু ডায়াবেটিসই নয়, বিবিধ রোগ বালাই থেকে মুক্ত থাকা যায়। স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৭০% কমে আসবে।
সালাদ খাওয়া :
প্রতিদিন অন্তত এক বাটি সালাদ রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। যার মধ্যে থাকবে গাজর, শসা, লেটুস, টমেটো, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি। প্রতিদিন দুপুরে বা রাতে খাবার খাওয়ার আগে এই সালাদ খেতে হবে।
ফাস্টফুড এড়িয়ে চলা :
ফ্রাইস, পিজ্জা, বার্গার এর মতো ফাস্ট এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে স্থুলতা, উচ্চ কোলেস্টেরল, হজমে সমস্যা এবং হৃদরোগের মতো নানা রোগ দেখা দিতে পারে। এসব খাবার দেহে ইনসুলিনের মাত্রায়ও ক্ষতিকরভাবে হেরফের ঘটিয়ে দিতে পারে। যা থেকে ডায়াবেটিসও হতে পারে।
কফি পান করা :
বেশ কিছু গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, প্রতিদিন অন্তত দুই কাপ চিনি ছাড়া কফি পান করলে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে আসে ২৯%। কফিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান এই কাজ করে।
ধুমপান ত্যাগ করা :
ধুমপান নানা ধরনের মারাত্মক রোগের একটি কারণ। ফুসফুস ক্যান্সার এর মতো ভয়ঙ্কর রোগের পাশাপাশি ডায়াবেটিসেরও একটি কারণ ধুমপান। সুতরাং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে না চাইলে আজই ধুমপান ছেড়ে দিতে হবে।
স্ট্রেস বা মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকা :
মাথা ব্যথা থেকে শুরু করে ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগও হতে পারে অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকে। তীব্র মানসিক চাপ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পাড়ে। তাই চিন্তা মুক্ত ও চাপমুক্ত থাকলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমবে।