মহালয়ার মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ - ০৪:৩৮:২৫ অপরাহ্ন
অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধে সত্য-সুন্দর প্রতিষ্ঠায় মাতৃত্ব ও শক্তির প্রতীক দেবী দুর্গাকে মহালয়ায় মর্ত্যে আহ্বান জানানোর মাধ্যমে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
আজ মঙ্গলবার ভোরে মণ্ডপে-মণ্ডপে চণ্ডীপাঠ, মঙ্গলঘট স্থাপন, ঢাক-কাঁসা ও শঙ্খ বাজিয়ে দেবীকে আহ্বান জানালেন ভক্তরা।
সনাতন ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, মহালয়ার প্রাক সন্ধ্যায় অর্থাৎ শুক্লপক্ষের চতুর্দশীতে কাত্যায়নী মুনির কন্যা রূপে মহিষাসুর বধের জন্য দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে। মহালয়ার মাধ্যমে শুরু হয় দেবী পক্ষের। এর আগের পক্ষ হল পিতৃপক্ষ। এই পক্ষে ভক্তরা তাদের পূর্বপূরুষের আত্মার প্রীতির জন্য অন্ন-জল নিবেদন করে থাকেন। শাস্ত্রে একে বলা হয় তর্পণ।
রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে ভোর ৬টায় শুরু হয় মহালয়ার আনুষ্ঠানিকতা। ত্রিভঙ্গচরণ ব্রহ্মচারীর চণ্ডীপাঠের সঙ্গে সমবেত কণ্ঠে ইয়াচণ্ডী অর্চনা ছিল শুরুতে। তারপর ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। দ্বিতীয় পর্বটি শুরু হয় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে। এ পর্বে ছিল মহালয়ার মূল আচার-অনুষ্ঠান। ঘট স্থাপনের পর নানা স্তব-স্তুতিতে দেবীকে মর্তে আহ্বান জানানো হয়।
প্রথম পর্বে ভক্তিমূলক গান পরিবেশন করেন অসিত দে, সুস্মিতা সেন, দেবপ্রসাদ, চন্দনা মজুমদার, কিরণ চন্দ্র রায়, শোয়েব, শেখর মণ্ডল, বিজন মিস্ত্রী, প্রিয়াঙ্কা বিশ্বাস, রিংকু পাল ও ছন্দা চক্রবর্তীরা।
তিথি অনুযায়ী, ২৬ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠীতে দুর্গার বোধনের মাধ্যমে শুরু হবে মূল পূজা। ৩০ সেপ্টেম্বর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বির্সজনের মধ্যে দিয়ে দুর্গোৎসব শেষ হবে। এবার সারা দেশে ৩০ হাজার ৭৭টি মণ্ডপে পূজা হবে, যা গতবারের চেয়ে ৭৭৭টি বেশি। গত বছর ২৯ হাজার ৩০০টি মণ্ডপে পূজা হয়েছিল।