মিয়ানমারের রাখাইন থেকে সেনাবাহিনীর দমন পীড়নের মুখ পালিয়ে আসা শরণার্থীদের জন্য সহায়তা দিতে বিশ্বব্যাংক প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান। এছাড়া প্রয়োজনে রিফিউজি ফান্ডের সহায়তা পেতে পারে বাংলাদেশ বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজ বুধবার সংস্থার ঢাকা কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
চিমিয়াও ফান বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন যে শরণার্থী সমস্যা চলছে, তাতে বিশ্বব্যাংক সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছে। অন্যান্য দাতা সংস্থার মতো বিশ্বব্যাংকও পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বিশ্বব্যাংকের সহযোগী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি আইডিএ-১৮–তে ‘রিফিউজি ফান্ড’ নামে নতুন একটি তহবিল গঠন করা হয়েছে। এর পরিমাণ ২০০ কোটি ডলার। যেকোনো দেশ প্রয়োজনে তিন বছরে সর্বোচ্চ ৪০ কোটি ডলার ঋণ পেতে পারে। বাংলাদেশও এই তহবিল পাওয়ার যোগ্য।’
‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে চলতি বছরের বাজেট বাস্তবায়নে বেশ কিছু অপ্রত্যাশিত চাপ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। যেমন: খাদ্যে ভর্তুকি, রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সংস্থান। এ ছাড়া দেশের অর্থনৈতিক ঝুঁকির বিষয়গুলো হলো নির্বাচনের আগের বছর হওয়ায় চলতি বছরে বড় ধরনের সংস্কারের সম্ভাবনা কম, রপ্তানি কমে যাওয়া ও রেমিট্যান্স প্রবাহে দুর্বলতা।
সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক দিক তুলে ধরেন সংস্থাটির মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ হবে বলে ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এই প্রবৃদ্ধি হবে মূলত শিল্প ও সেবা খাতনির্ভর।
বিশ্বব্যাংক বলছে, প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশের মূল চ্যালেঞ্জগুলো হলো অবকাঠামো উন্নয়ন ও মানসম্মত কর্মসংস্থান তৈরি। এর আগে চলতি বছরের জুনেও প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস ৬ দশমিক ৪ শতাংশ হবে বলে জানায় সংস্থাটি।
রিফিউজি ফান্ডের সহায়তা পেতে পারে বাংলাদেশ: বিশ্বব্যাংক