এসেক্সের কাছ থেকে কোন টাকা নেননি তামিম




ম্যাচপ্রতি এসেক্সের কাছ থেকে প্রায় তিন হাজার পাউন্ড পাওয়ার চুক্তি হয়েছিল তামিমের। অথচ এক ম্যাচ খেললেও এসেক্সের কাছ থেকে কোন টাকা না নিয়েই দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ দলের এই ওপেনার।
মাথায় হিজাব থাকায় গত সোমবার ইস্ট লন্ডনের স্ট্রাটফোর্ডে কিছু শ্বেতাঙ্গ তরুণের বর্ণবাদী আচরণের শিকার হন তামিমের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা। ব্যাপারটি এসেক্সকে জানিয়ে পরদিনই সপরিবারে দেশের উদ্দেশ্যে লন্ডন ছাড়েন তামিম।
এ বিষয়ে এসেক্স এক বিবৃতিতে জানায়, তামিম ‘ব্যক্তিগত কারণে’ দেশে ফিরে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি ওপেনারও দেশে ফেরার কারণ হিসেবে ফেসবুক ও টুইটারে ‘ব্যক্তিগত কারণে’র কথাই বলেছেন।
তামিমের দেশে ফেরার প্রস্তাবে এসেক্স রাজি হলেও ঘটনাটি প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দুই পক্ষ মিলেই। সে কারণেই এ নিয়ে যতটা সম্ভব চুপ থাকছেন তামিম। কিন্তু তাঁর এই মৌনতার ভিন্ন অর্থ করছেন অনেকেই। অনেকের ধারণা করেছেন টাকার জন্যই মুখ বন্ধ রেখেছেন তামিম।
তবে তামিমের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে বিষয়টা পুরোই উল্টো । ম্যাচপ্রতি তিন হাজার পাউন্ড করে ধরে এসেক্স বেশ কিছু টাকা তাঁকে অগ্রিম দিয়ে রেখেছিল। কিন্তু দেশে ফেরার আগে তামিম সব টাকাই ফিরিয়ে দিয়েছেন এসেক্সকে।
সূত্রের বরাত দিয়ে জানা যায় ক্লাব কর্মকর্তাদের নাকি তামিম বলেছেন, ‌‌‘আমি তো দলের জন্য কিছুই করতে পারিনি, কাজেই টাকাটা ফেরত নিন। হুট করে চলে যাওয়ায় আপনাদের সমস্যায় পড়তে হবে, আমার জায়গায় নতুন একজন খেলোয়াড় নিতে হবে। কাজেই এই টাকা আমি নেব না। চলে যেতে হচ্ছে বলে আমি দুঃখিত।’
তামিমের এমন বিনয়ী আচরণে বিস্ময় প্রকাশ করে এসেক্স কর্মকর্তারা বলেছিলেন, ‌‌‘দলের হয়ে একটি ম্যাচ খেলায় কিছু টাকা পাওয়াটা আপনার অধিকার। দয়া করে টাকাটা নিন।’
তামিম তবু এসেক্সের অর্থ ফিরিয়ে দিয়ে এসেছেন। কেন্টের বিপক্ষে এক ম্যাচ খেললেও সেটি আসলে তিনি খেলেছেন বিনে পয়সায়।
তবে চুক্তি অনুযায়ী ইংল্যান্ডে অবস্থানের সময় পরিবার নিয়ে থাকার জন্য তামিমকে স্ট্রাটফোর্ডে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে দিয়েছিল এসেক্স। ব্যবহারের জন্য দিয়েছিল একটি গাড়ি। এ ছাড়া যাওয়া-আসার বিমানভাড়াও ক্লাবই দিয়েছে, তবে শুধু তামিমেরটা। স্ত্রী আয়েশা ও ছেলে আরহামের বিমানভাড়া বহন করেছেন তামিম নিজেই।