ছোটবেলা থেকেই আমরা সকলেই শুনেছি, প্রেম মানে না কোন বাধা। এবার যেন তারই বাস্তব রমান রচনা করলেন জাপানের রাজকন্যা। তিনি মিশে গেলেন আমজনতার স্রোতে। হয়ে গেলেন একটি অতি সাধারণ পরিবারের গৃহবধূ। রাজপরিবারের মোহ কাটিয়ে। রাজকন্যার কলেজ জীবনের প্রেম পরিণতি পেল পরিণয়ে।
রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বিয়ের খবরটা ঘোষণা করে ফেললেন জাপানের রাজকুমারী মাকো। বললেন, ‘ভালবেসে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পেরে আমি ভীষণ খুশি।’
রাজকুমারী সম্পর্কে কেই বললেন, ‘ও অনেকটা চাঁদের মতো, নিশ্চুপে আলো ছড়ায়।’ মিষ্টি হেসে মাকোও বললেন, ‘আর ও আমার সূর্য।’
হবু স্বামী ২৫ বছরের কেই কোমুরো ল’ফার্মে কাজ করেন। দেশের পর্যটন সংক্রান্ত একটি প্রতিযোগিতায় জিতে এক সময়ে ‘প্রিন্স অব দ্য সি’ হয়েছিলেন। মাকোর সঙ্গে সম্পর্কটা দানা বেঁধেছিল তিন বছর আগে। এ দিনও সাংবাদিক বৈঠকে পাশাপাশি বসেছিলেন দু’জনে।
রাজা আকিহিতোর দ্বিতীয় পুত্র আকিশিনোর মেয়ে বছর পঁচিশের মাকো। তবে তার বাবা, দাদা সকলেই রাজপরিবারের বাইরে বিয়ে করেছেন। কিন্তু শুধুমাত্র মেয়েদের ক্ষেত্রেই নিয়মটা হল, দেশের সাধারণ নাগরিককে বিয়ে করলে ‘রাজকন্যা’র অধিকার খোয়াতে হবে।
মাকো বলেন, ‘ছোট থেকেই জানতাম নিয়মটা। তা বলে রাজপরিবারের কোনও দায়িত্ব এখনও পর্যন্ত এড়িয়ে যায়নি। সমস্ত কর্তব্য পালন করেছি।’
এ নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়েছে। নিয়মকানুনে আটকে কেন মেয়েরাই আত্মত্যাগ করবে? কেন একুশ শতকেও আইন বদলাবে না? প্রাচীনপন্থীরা অবশ্য ‘পরিবর্তন’ মানতে নারাজ। এমনকী প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেও দু’শতকের রীতিনীতি বদলের বিপক্ষে।
জুলাইয়েই বিয়ের ঘোষণা হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে সময়ে বন্যাবিধ্বস্ত ছিল দেশের দক্ষিণ অংশ। তাই পরিস্থিতি বিচার করে স্থগিত রাখা হয়েছিল বিয়ের তোড়জোড়। আজ রাজবাড়ির তরফে এক আধিকারিক জানালেন, সব ঠিক থাকলে ২০১৮ সালের গ্রীষ্মেই বিয়ের অনুষ্ঠান হবে।